দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান নীতিমালা-২০১৫
বর্তমানে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যা ১৫,০৯,১০,৪৪৮ জন। তন্মধ্যে মহিলার সংখ্যা ৪৯.৯৪% । ২৪.৬% লোক দরিদ্র। এর মধ্যে গ্রামে বসবাসরত জনসংখ্যা বেশী। ১৫-৪৯ বৎসর বয়সের মহিলার সংখ্যা ৫১.২%। এদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা খুবই খারাপ। বাংলাদেশ বর্তমানে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। সুতরাং বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিরাপদ মাতৃত্ব তথা মা ও শিশু স্বাস্থ্যের ঝুকি মোকাবেলাসহ মা শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস করা অতি জরুরী। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর হার ২.৩৮% হতে ১.৩৭% এ হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যের ধারণা শুধুমাত্র মাতৃস্বাস্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। মাতৃস্বাস্থ্যের যত্নের বিষয়টি মানবাধিকার ও নৈতিকতার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কীয় বলে এসব বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। (তথ্য ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী)
বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভাতাভোগীর সংখ্যা, কর্ম এলাকা ও ভাতার পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি করা হবে। প্রসংগত ২০০৫ সালে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে বেসরকারী সংস্থা ডরপ এর উদ্যোগে দেশে সর্বপ্রথম পাইলটাকারে অতি দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান কর্মসূচী শুরু হয়। এর ফলশ্রুতিতে ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে রাজস্বখাত হতে সরকারীভাবে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর মাধ্যমে এ কর্মসূচী শুরু হয়। সেই থেকে কর্মসূচির নাম করন করা হয় “দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচি”।
পল্লী অঞ্চলের দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে তাদের দুঃখ দুর্দশা লাঘব, মা ও শিশু মৃত্যু হার হ্রাস, মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়ন করার উদ্দেশ্যে এবং সুষ্ঠু সবল ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রত্যাশায় সরকার মাতৃত্বকাল ভাতার প্রতি গুরুত্বারোপ করে ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরের বাজেটে ১৭.০০ (সতের কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদানের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচির সূচনা করে। কর্মসূচির শুরুতে ৩০০০ ইউনিয়নের প্রতিটিতে ১৫ জন করে মোট ৪৫০০০ (পয়তাল্লিশ হাজার) দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের প্রত্যেককে প্রতি মাসে ৩০০.০০(তিনশত) টাকা করে মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান করা হয়। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের মাসিক ৫০০.০০(পাঁচশত) টাকা করে সমগ্র বাংলাদেশের ৪৫৪৭টি ইউনিয়নে ২২০০০০(দুই লক্ষ বিশ হাজার) ভাতাভোগীকে ১৩২.০০ (একশত বত্রিশ কোটি) কোটি টাকা মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান করা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে মাতৃত্বকাল ভাতা বাবদ ১৬৯.৪০ (একশত উনসত্তর কোটি চল্লিশ লক্ষ) টাকা সমগ্র বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা ও ৪৮৮টি উপজেলার অন্তর্গত ৪৫৪৭টি ইউনিয়নের ২৬৪০০০ জন ভাতাভোগীর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতি বছর বাজেট বরাদ্দ ও সরকারী ঘোষণার প্রেক্ষিতে ভাতাভোগীর সংখ্যা, ভাতার পরিমাণ ও প্রশিক্ষণ বাবদ সার্ভিস চার্জের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়।
দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান
নীতিমালা-২০১৫ । ডাউনলোড
করতে নিচের বক্সে ক্লিক করে মাত্র কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করুন।
পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘ফেসবুক পেজে” লাইক দিয়ে রাখুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
No comments